বিভিন্ন ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK
10

বিভিন্ন ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি

প্রকৃতিতে মৌলগুলোকে বিভিন্ন ব্লকে ভাগ করা হয়েছে যেমন s-ব্লক, p-ব্লক, d-ব্লক এবং f-ব্লক। প্রতিটি ব্লকের মৌলগুলো নির্দিষ্ট কিছু সাধারণ ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এখানে প্রতিটি ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি ব্যাখ্যা করা হলো:


s-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি

  1. ইলেকট্রন বিন্যাস: s-ব্লকের মৌলগুলোর শেষ ইলেকট্রনটি s-অরবিটালে থাকে।
  2. জারণ ধর্ম: এরা সাধারণত ধাতব প্রকৃতির এবং ইলেকট্রন হারিয়ে ধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
  3. বিপ্রতীক ধর্ম: s-ব্লকের মৌলগুলো উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতার অধিকারী নয়।
  4. অভিকর্ষ ধর্ম: সহজেই অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করে যৌগ গঠন করতে পারে।

p-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি

  1. ইলেকট্রন বিন্যাস: শেষ ইলেকট্রনটি p-অরবিটালে প্রবেশ করে।
  2. বহুমাত্রিক ধর্ম: এ ব্লকের মৌলগুলো ধাতু, অধাতু এবং উপধাতু হতে পারে।
  3. বিপ্রতীক ধর্ম: অধিকাংশ p-ব্লকের মৌল উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মক এবং অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  4. ভিন্ন ভিন্ন যৌগ গঠন: প-ব্লকের মৌলগুলো বিভিন্ন ধরনের যৌগ গঠন করতে পারে, যেমন অক্সাইড, হ্যালাইড ইত্যাদি।

d-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি

  1. ইলেকট্রন বিন্যাস: শেষ ইলেকট্রনটি d-অরবিটালে থাকে।
  2. রঙিন যৌগ: অধিকাংশ d-ব্লকের মৌল রঙিন যৌগ গঠন করে।
  3. অংশিক ভর: d-ব্লকের মৌলগুলো সাধারণত উচ্চ গলনাঙ্ক এবং কঠিন অবস্থা প্রদর্শন করে।
  4. জারণ অবস্থার ভিন্নতা: এই মৌলগুলো বিভিন্ন জারণ অবস্থায় থাকতে পারে।

f-ব্লকের মৌলের সাধারণ ধর্মাবলি

  1. ইলেকট্রন বিন্যাস: শেষ ইলেকট্রনটি f-অরবিটালে থাকে।
  2. অভ্যন্তরীণ রূপান্তর: এই ব্লকের মৌলগুলোকে "অভ্যন্তরীণ রূপান্তর মৌল" বলা হয়।
  3. রেডিওধর্মিতা: অধিকাংশ f-ব্লকের মৌল রেডিওধর্মী।
  4. সংকরকরণ: f-ব্লকের মৌল বিভিন্ন ধরনের সংকরকরণ প্রদর্শন করে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অক্সিজেন, সালফার, সেলেনিয়াম, টেলুরিয়াম, অ্যান্টিমনি
নাইট্রোজেন, ফসফরাস, আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি,, বিসমাথ
নাইট্রোজেন, ফসফরাস, টেলুরিয়াম, পোলোনিয়াম
নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাস, আর্সেনিক, বিসমাথ
এটি একটি শক্তিশালী বিজারক
এটি ঋণাত্মক হ্যালোজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হ্যালাইড গঠন করে
একটি তড়িৎ ধনাত্মক, ফলে সহজেই ইলেকট্রন ত্যাগ করে তা ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন বা প্রোটন (H+) এ পরিণত হয়
ধাতব হাইড্রাইডে এটি ঋণাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন (H-) উৎপন্ন করে
Promotion